পতনের ঝুঁকিতে আমেরিকার আরও ২০০ ব্যাংক
সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি ব্যাংক |
Daily Top News
যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক অর্থ সংকটের কবলে পড়ে গত তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটির আরও প্রায় ২০০ ব্যাংক একই পরিণতি বরণ করতে পারে।
Daily Top News
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন দিনের ব্যবধানে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসন অস্থিতিশীল বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপরও ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি শেষ হয়ে যায়নি। সামান্য কোনো কারণেই ব্যাংকগুলো ওই দুটি ব্যাংকের ভাগ্য বরণ করতে পারে। মার্কিন প্রশাসন ব্যংকিং খাত রক্ষায় কিছু কর্মসুচি গ্রহন করেছে, তারপর ও গ্রাহকদের আতংকাবস্থা এখনো কাটেনি।
Daily Top News
সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত একটি গবেষনামুলক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকরা টাকা তুলে নেওয়ায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ১৮৬টি ব্যাংক একই ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ব্যাংকের ক্ষেত্রে যদি তাদের অর্ধেক গ্রাহক তাদের সঞ্চিত অর্থ তুলে নেয়, তাহলেই এসব ব্যাংক বন্ধের তালিকায় চলে যাবে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, যদিও মার্কিন সরকার দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত ব্যাংক আমানতের বিমা করে থাকে। কিন্তু এসব ব্যাংকে প্রচুর অ-বিমাকৃত আমানতকারী রয়েছে। যে কোনো নেতিবাচক সংবাদে তাদের মধ্যে অর্থ তুলে নেওয়ার প্রবণতা কাজ করে।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এমনিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকের তালিকায় ছিল না। কিন্তু ব্যাংকটি অবিমাকৃত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল অনেক। ব্যাংকটি অভ্যন্তরীণ কিছু সংকটের কারণে তাদের কিছু সম্পদ বিক্রির ঘোষণা দিলে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দুই দিনের ব্যবধানে ব্যাংকটির আমানত প্রায়ই শূন্যের কোটায় চলে যায় এবং কতৃপক্ষ ব্যাংকটি বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
যুক্ত্রারাষ্ট্রের চার জন অর্থনীতিবিদের করা ওই সমীক্ষায় বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অবস্থার কারণে ২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত এক বছর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার শতকরা চার দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়িয়েছে। ফলে এই সময়ে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য ব্যাপক মাত্রায় কমে যায়।
এসব ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে জমা রাখে। প্রাথমিক বিনিয়োগ ধরে রাখার জন্য এটি অতি নিরাপদ বলে বিবেচিত। কিন্তু সুদের হার বাড়ানোর কারণে এইসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য মারাত্মকভাবে কমে যায়। ফলে চরম সংকটে পড়ে গেছে ব্যাংকগুলো। এই অবস্থায় বাইডেন প্রশাসন আর্থিক খাত রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নিতে পারে তা সময়েই বলে দিবে।
No comments:
Post a Comment
Thank You So much for Your Valuable feedback